ক্যারিয়ার কাউন্সেলিং RICE-এ

  • RICE Education–এর ক্যারিয়ার কাউন্সেলিং সেশন

আমাদের মধ্যবিত্ত পরিবারগুলিতে সাধারণত ছেলেমেয়েদের পড়াশোনার পাশাপাশি তাদের ভবিষ্যৎ কেরিয়ারের বিষয়ে গুরুত্বসহকারে ভাবনাচিন্তা করা হয় না। বেশীরভাগ ক্ষেত্রেই ছেলেমেয়েদের উচ্চশিক্ষা তথা ডাক্তার ইঞ্জিনিয়ার হওয়া নিয়ে যে উদ্দীপনা থাকে তার সিকিভাগও সরকারি চাকরি পাওয়ার জন্য লক্ষ্য করা যায় না। অথচ WBCS, SSC, PSC, CGL, CHSL, Bank, Rail ইত্যাদি কেন্দ্রীয় ও রাজ্য সরকারি ক্ষেত্রে অত্যন্ত সম্মানজনক পদে চাকরি পাওয়া যায়। এর জন্য যেমন দায়ি সরকারি চাকরির পরীক্ষা সম্পর্কে একটা সাধারণ ভীতি তেমনই সরকারি চাকরির অনন্ত সম্ভাবনা সম্পর্কে অজ্ঞানতা।

 

  • সুদক্ষ কেরিয়ার কাউন্সেলারের ভূমিকা

ছাত্রছাত্রীদের হায়ার সেকেন্ডারি পরীক্ষা দেওয়ার পর থেকেই সরকারি চাকরির পরীক্ষার প্রস্তুতি বিষয়ে ভাবা উচিত। এরপর গ্র্যাজুয়েট হয়ে দিশেহারার মত না ঘুরে যাতে তারা সরকারি চাকরির বিশাল পরিসরে নিজেদের লক্ষ্যটা ঠিক করে নিতে পারে তার জন্য দরকার একজন সুদক্ষ কেরিয়ার কাউন্সেলারের নির্দেশনা। RICE Education –এর কর্ণধার প্রফেসর ডঃ সমিত রায় মহাশয় বলেন, দেশ চালাতে মন্ত্রীরাই যথেষ্ট নন আমলারাও গুরুত্বপূর্ণ। WBCS, UPSC, IAS ইত্যাদি পরীক্ষার দ্বারাই সেই আমলাদের চয়ন করা হয়, কাজেই রাজ্য তথা কেন্দ্রীয় স্তরে আমলা বা ব্যুরোক্রাট তৈরি করতে হলে পরীক্ষাগুলির বিষয়ে সঠিক ভাবে জানা এবং নিখাদ প্রস্তুতি গড়ে তোলা অবশ্য প্রয়োজন।

 

  • সরকারি চাকরির পরীক্ষার প্রস্তুতির জন্য দুর্মূল্য সময়

ডঃ সমিত রায় মহাশয় আরও বলেন, গত ৩৮ বছর ধরে RICE Education থেকে রাজ্যের ১.৫ লক্ষেরও বেশি শিক্ষার্থী কেন্দ্রীয় ও রাজ্য সরকারের বিভিন্ন দপ্তরে চাকরি পেয়েছে। কিন্তু এই দীর্ঘ সময়ের অভিজ্ঞতায় তিনি ছাত্রছাত্রীদের সাফল্য ও ব্যর্থতার নিরিখে চারটি শ্রেণিকে লক্ষ্য করেছেন, একদল যারা প্রথাগত শিক্ষাক্ষেত্রে সফল, তাদের একটা অহমিকা থাকে। ফলে সঠিক মেথডে না গিয়ে নিজের মত করে পড়ে সরকারি চাকরির পরীক্ষা ক্র্যাক করতে ব্যর্থ হয়। দ্বিতীয় একদল অদূরদর্শিতার কারণে সঠিক সময়ে প্রশিক্ষণ গ্রহণ না করে ব্যর্থ হয়। এবং তৃতীয় দল জীবনের সাথে পরীক্ষা-নিরীক্ষা করতে গিয়ে ব্যর্থ হয়। কিন্তু এরা ছাড়াও চতুর্থ এক ধরণের ছাত্রছাত্রী আছে। এরা মধ্যমেধার কিন্তু পরিশ্রমী অদম্য এদের ইচ্ছা, বিশ্বাস। দীর্ঘমেয়াদী পরিশ্রম ও সঠিক প্রতিষ্ঠনের উন্নত প্রশিক্ষণের দ্বারা এরাই কিন্তু সরকারি চাকরিক্ষেত্রে সাফল্য লাভ করে।

সুতরাং, প্রথাগত পড়াশোনা শেষ করার পর গা ভাসিয়ে দিলে চলবে না। খেয়ে–শুয়ে, ঘুরে–বেড়িয়ে তারপর পড়লে সরকারি চাকরির পরীক্ষার প্রতিযোগিতা জয় করা যায় না। স্কুল কলেজের পড়াশোনার থেকে সম্পূর্ণ পৃথক এই সরকারি চাকরি পাওয়ার জন্য পড়াশোনা। এই সময়টা জীবনের সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ এবং মূল্যবান কালপর্ব যখন দু-তিনটে বছর পড়াশোনার জন্য কৃচ্ছসাধন করলে বাকি জীবনটা স্বচ্ছন্দে, সানন্দে এবং সম্মানের সঙ্গে বাঁচা যায়।

 

  • থাকতে হবে পজ়িটিভ

এইজন্য দ্বাদশ শ্রেণী থেকে স্নাতক পর্বের ছাত্রছাত্রীদের সরকারি চাকরির পরীক্ষা দেওয়ার জন্য প্রথমেই মনস্থির করে নিতে হবে। তারপরে জানতে হবে কোন কোন শিক্ষাগত যোগ্যতায় কি কি পরীক্ষা দেওয়া যায়। আরও জানতে হবে পরীক্ষাগুলির জন্য সম্পূর্ণ সিলেবাস, পরীক্ষার খুঁটিনাটি, পড়ার পদ্ধতি, দ্রুত উত্তর করার কৌশল! আর এই সবকিছুর পরে দরকার মোটিভেশন, বিফলতার পরেও ধৈর্য ধরে লক্ষ্যে স্থির থাকলে সফলতা হাতে আসবেই।

 

  • প্রফেসর ডঃ সমিত রায় মহাশয়ের সঙ্গে সরাসরি দেখা করার সুযোগ

দ্বাদশ থেকে স্নাতকপর্বের শিক্ষার্থীদের সরকারি চাকরির পরীক্ষা সম্পর্কে যাবতীয় ধারণা তৈরি করে দেন এবং তাদের ভীষণভাবে উদ্বুদ্ধ করেন স্বয়ং ডঃ সমিত রায় মহাশয়। বেলঘড়িয়ায় RICE Education–এর হেড অফিস দিশারী ভবনে কেরিয়ার কাউন্সেলিং সেমিনারে তিনি শীক্ষার্থীদের সঙ্গে সরাসরি কথা বলেন— দিশা দেন ভবিষ্যতের। যারা সত্যিই জীবনে সফল মানুষ হতে চায়, সম্মানের সঙ্গে মাথা উঁচু করে বাঁচতে চায় সেইসব তরুণদের জন্য RICE-এর এই ক্যারিয়ার কাউন্সেলিং সেশনে উপস্থিত হতে পারা সত্যিই এক দুর্দান্ত সুযোগ।

উত্তরণের পথে

  • ইতিহাস গড়ার অনুপ্রেরণা

“উত্তরণের পথে” একটি এমন অধিবেশন যেখানে RICE গ্রুপের চেয়ারম্যান, অ্যাডামাস ইউনিভার্সিটির চ্যান্সেলর প্রফেসর ডঃ সমিত রায় মহাশয় বাংলার ছাত্রসমাজের সঙ্গে সরাসরি কথা বলেন, তাদের উদ্বোধিত করেন, অনুপ্রেরণার সঞ্চার করেন। পশ্চিমবঙ্গের জেলায় জেলায় RICE Education-এর যত শাখা আছে সমস্ত শাখার সকল ছাত্রছাত্রীদের কথা তিনি নিজে শোনেন, কৃতী ছাত্রছাত্রীদের সম্বর্ধিত করেন এবং সেই অঞ্চলের আশেপাশের কলেজ ছাত্রছাত্রীদের দিশা দেখান যে কীভাবে তারা একটি সরকারি চাকরি পেতে পারে এবং গড়তে পারে নিজের সফল ভবিষ্যৎ। খুব সম্প্রতি ৮ সেপ্টেম্বর, ২০২৩ RICE Education-এর বেহালা শাখার উদ্যোগে বেহালার শরৎসদনে অনুষ্ঠিত হয়ে গেল এমনই একটি অনুপ্রেরণাদায়ক অনুষ্ঠান।

  • পানিপথের যুদ্ধ

 স্যার একটি রবীন্দ্রসঙ্গীতকে তাঁর বক্তব্যের মূলসুর হিসেবে ধার্য করে আবৃত্তি করছিলেন-

          “বিপদে মোরে রক্ষা কর এ নহে মোর প্রার্থনা

        ….আমারে তুমি করিবে ত্রাণ এ নহে মোর প্রার্থনা

          তরিতে পারি শকতি যেন রয়।”

এই আত্মবিশ্বাস, এহেন আত্মনির্ভরতায় জেগে ওঠার জন্য তিনি ডাক দেন বাংলার যুবসমাজকে। তিনি জিজ্ঞাসা করেন ছাত্রছাত্রীদের তারা কি স্বপ্ন দেখে? স্বপ্ন, বড় কিছুর? ছাত্রছাত্রীরা পড়াশোনার দশ বছর পর যখন ১০ম ক্লাসে মাধ্যমিক বা সমতুল্য পরীক্ষা দিতে যায় তখন সেই পরীক্ষাকে মনে করে যেন পানিপথের ১ম যুদ্ধ। এইভাবে হায়ার সেকেন্ডারি এবং গ্র্যাজুয়েশনের পরে ২য় এবং ৩য় পানিপথের যুদ্ধ শেষ হয়। কিন্তু তাতে সাম্রাজ্য পাওয়া যায় না, বরং মাধ্যমিকের ‘সৌম্য’ বা গ্র্যাজুয়েশনের ‘মঞ্জরী’র পরিচয় ঘুচে গিয়ে তিন অক্ষরের একটি সামাজিক উপাধি পায় সে—“বেকার”। সে দিক থেকে RICE Education তো একটি মন্দির, যা তরুণদের বেকারত্বের অভিশাপ থেকে উত্তরণের পথ দেখায়।

  • কেরিয়ার ও সন্তুষ্টি

বাঙালি তরুণ প্রজন্ম যথেষ্ট বুদ্ধিমান কিন্তু উচ্চাকাঙ্ক্ষী নয়। তারা তলিয়ে চিন্তা করে না যে, ‘জীবন গঠন করতে আমি কোন সুনির্দিষ্ট পথে চলব’। প্রফেসর ডঃ সমিত রায় মহাশয় বলেন যে ছাত্রছাত্রীদের এটা ভাবার দরকার নেই যে ডাক্তার ইঞ্জিনিয়ার হওয়াই কেরিয়ারের চরম সাফল্য। তাদের সমতুল্য সফল কেরিয়ার গড়ে তোলা যায় সরকারি চাকরির ক্ষেত্রে। যে কোন সরকারি চাকরির প্রথম বেতন শুরুই হয় প্রায় ৩৫০০০/- টাকা থেকে। CGL-এর ক্ষেত্রে তো প্রথম বেতনই ৭০০০০/- টাকার উপর থেকে শুরু। তাঁর পর্যবেক্ষণ অনুযায়ী খুব শিগগিরই নতুন পে-স্কেল তৈরী হবে যেখানে একজন WBCS অফিসারের বেতন হতে পারে ১,৪০,০০০/- টাকার কাছাকাছি এবং একজন IAS IPS এর মাসিক বেতন হবে অন্তত ৩,৫০,০০০/- টাকার মত। সেইসঙ্গে মান- সম্মান, নিরাপত্তা এবং দেশের জন্য কাজ করতে পারার সন্তুষ্টি তো আছেই।

  • স্বপ্ন বড় কিছুর

কিন্তু বাংলার ছাত্রছাত্রীরা বড় স্বপ্ন দেখতে শেখেনি, স্বপ্নের জন্য রাত জাগতে, ভোরে উঠতে শেখেনি। স্কুল কলেজের পড়াশোনা তারা যতটা গুরুত্ব দিয়ে করে সরকারি চাকরি পাওয়ার জন্য ততটা আদা জল খেয়ে লাগতে পারে না। অথচ পার্শ্ববর্তী রাজ্যগুলিতে ঠিক তার বিপরীতক্রম লক্ষ্য করা যায়। সেখানে স্কুল-কলেজের পড়াশোনা যেমনভাবেই করুক না কেন স্কুলের গন্ডি পার করেই ছাত্রছাত্রীরা একদম একনিষ্ঠতার সঙ্গে UPSC পরীক্ষার জন্য গ্রুপস্টাডি, কোচিং ইত্যাদি শুরু করে দেয়। স্যার অত্যন্ত দূরদর্শীতার সঙ্গে বারবার এমন কথা বলেন যে দেশ কেবল নেতা মন্ত্রীরা চালান না, তাতে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করেন আমলারা। তাই এই আমলাতন্ত্রে রাজ্য থেকে যত বেশী প্রতিনিধি  পাঠানো যাবে রাজ্যের বিভিন্ন পরিকল্পনা তত সফলভাবে রূপায়িত হবে। তাই শুধু রাজ্য সরকারি পরীক্ষাই নয় কেন্দ্র সরকারি চাকরির পরীক্ষাতেও বসার প্রস্তুতি শুরু করতে হবে স্কুল কলেজ স্তর থেকেই।

  • মেধার বিকাশ

২২ বছর বয়সে কলেজে উত্তীর্ণ হওয়ার পর থেকে ৩২ বছর পর্যন্ত সরকারি চাকরির পরীক্ষায় বসা যায় একাধিকবার। কিন্তু প্রফেসর ডঃ সমিত রায় বলেন এটা কোন রোমাঞ্চের যাত্রা নয় যে একাধিকবার তার অভিজ্ঞতা সঞ্চয় করতে হবে। যতবার খুশি ততবার পরীক্ষা দিয়ে মাধ্যমিক বা হায়ার সেকেন্ডারি পরীক্ষায় পাশ করার কথা কেউ তো ভাবে না, তাহলে চাকরির পরীক্ষার ক্ষেত্রে মস্তিষ্কের এই অবসাদ কেন? কেন প্রথমবারেই প্রাণ পণ করে পরীক্ষায় বসে না প্রার্থীরা? তিনি বলেন জীবনের মাত্র দু- তিনটে বছর গভীর অধ্যাবসায় দিয়ে পড়লেই সরকারি চাকরির মাধ্যমে নিশ্চিন্ত জীবন পাওয়া যেতে পারে। কিন্তু পড়াশোনায় হতে হবে কঠোর পরিশ্রমী, প্রস্তুতি হতে হবে নিখাদ। ঠিক এইখানেই ছাত্রছাত্রীদের অনেকদূর পর্যন্ত এগিয়ে দেয় RICE Education। কোন ছাত্রছাত্রী আর্টস্‌, সায়েন্স, টেকনোলজি যে ধারারই হোক না কেন RICE Education তাকে সরকারি চাকরির জন্য প্রস্তুত করে তোলে ক্যাপাসিটি বিল্ডিং পদ্ধতির মধ্য দিয়ে।

  • ক্যাপাসিটি বিল্ডিং

কি এই ‘ক্যাপাসিটি বিল্ডিং’? ক্যাপাসিটি বিল্ডিং হল একটি প্রক্রিয়া। সে যে ধারারই ছাত্রছাত্রী হোক না কেন তারা খুব বেশী হলে ৫ থেকে ৬টা সাবজেক্ট পড়াশোনা করে আসে অথচ চাকরির পরীক্ষায় প্রশ্ন আসে ১৫টা সাবজেক্ট থেকে। যারা আর্টস ব্যাকগ্রাউন্ডের ছাত্রছাত্রী তারা হয়তো অঙ্কে ভয় পায়। এমন কথাও অনেকে বলে “সরকারি চাকরি পেতে হলে অঙ্ক পরীক্ষা দিতে হয়, আমি তো অঙ্কের ভয়েই মাধ্যমিকের পরে আর্টস্‌ নিয়ে পড়েছিলাম।” প্রফেসর ডঃ রায় বলেন, “তোমরা ছাত্রছাত্রীরা এটা কেন বোঝ না ১৫- ১৬ বছর বয়সে যে অঙ্ক ভীষণ কঠিন লেগেছে ২২ বছরের পরিণত মস্তিষ্কে তা খুব সহজেই বুঝতে পারবে”। আর চাকরির পরীক্ষার ৬০% প্রশ্নই আসে মাধ্যমিক স্তর থেকে। বাকি ৩০% উচ্চ মাধ্যমিক স্তর এবং মাত্র ১০% প্রশ্ন আসে স্নাতক স্তরের থেকে। RICE Education ১৫টা সাবজেক্টের বিশাল সিলেবাসকে ১২টা স্টাডি মেটেরিয়ালে ভাগ করে তাকে আত্মস্থ করায় ক্লাস ওয়ার্ক, হোম ওয়ার্ক, উইকলি টেস্ট, মান্থলি টেস্ট, মিশন ১০০, মকটেস্ট ইত্যাদির মাধ্যমে। ধীরে ধীরে বিজ্ঞানসম্মত উপায়ে ছাত্রছাত্রীদের ভীতি দূর করে তাদের দুর্বলতর বিষয়টাতে পারদর্শী করে তোলে। একেই বলা হয় ‘ক্যাপাসিটি বিল্ডিং’। RICE Education  পাশে থাকে প্রিলিমস্‌, মেইনস্‌, ইন্টারভিউ ইত্যাদি পরীক্ষার প্রত্যেকটি ধাপে। RICE মেথডোলজি একজন মধ্যমেধার শিক্ষার্থীকেও চাকরির পরীক্ষায় সফল করে তোলার দাবি করতে পারে।

  • কৃতীদের প্রেরণা

RICE মেথডোলজি যে ছাত্রছাত্রীদের কতখানি আত্মবিশ্বাসী করে তুলেছে তা বোঝা যায় RICE Education-এর কৃতীদের কথায়। RICE- বেহালা শাখার ১৬ জন সফল শিক্ষার্থী, যাঁদের কেউ কেউ আবার একাধিক পরীক্ষায় সফল, কেউ চাকরিরত – তাদের প্রত্যেককে মঞ্চে ডেকে নিজের হাতে সম্বর্ধনা দেন প্রতিষ্ঠানের কর্ণধার প্রফেসর ডঃ সমিত রায় মহাশয়। মঞ্চে দাঁড়িয়ে তাঁরা মুক্তকন্ঠে স্বীকার করেন অদম্য জেদ, লেগে থাকার মানসিকতা, আর কঠোর পরিশ্রম ছাড়া সরকারি চাকরি পাওয়ার কোন বিকল্প পথ নেই। সে ক্ষেত্রে RICE Education তাদের পথপ্রদর্শক, সহায়ক এবং অনুপ্রেরণার প্রধান উৎস। RICE Education-এ ভর্তি হওয়া তাদের জীবনের অন্যতম সঠিক সিদ্ধান্ত। সেদিন যদি এই সিদ্ধান্ত নিতে দ্বিধা করতেন তাহলে সরকারি পদে বসার স্বপ্ন অধরাই থেকে যেত। এই সফল ছাত্রছাত্রীরাই নতুনদের স্বপ্ন দেখান, তাঁদের মধ্যে অন্যতম বিতান চৌধুরী যিনি WBCS-এ সফল হয়ে বর্তমানে কর্মরত, তিনি দর্শকের আসনে সমাসীন বর্তমান ছাত্রছাত্রীদের সম্বোধিত করে বলেন যে তাঁর অফিসে এখনও অনেক আসন ফাঁকা, এদের সকলকে বিতান তাঁর সহকর্মী হিসাবে সেই ফাঁকা আসনগুলিতে দেখতে চান। এ সাফল্য কেবল একার নয়, পশ্চিমবঙ্গের সমস্ত তরুণ সমাজকে এই সাফল্য এনে দিতে RICE Education বদ্ধপরিকর।

  • ম্যাথাম্যাজিক

‘উত্তরণের পথে’র আর একটি বিশেষ আকর্ষণ হল প্রফেসর ডঃ সমিত রায়ের ম্যাথস্‌ ট্রিকসের ক্লাস, যাকে বলা যায়— ‘ম্যাথাম্যাজিক’! দর্শকের আসনে বসে থাকা ছাত্রছাত্রীদের কাছে অডিটোরিয়াম তখন এক আশ্চর্য ক্লাসরুম যেখানে ৩৮ বছরের অভিজ্ঞতাসম্পন্ন একটি প্রথম শ্রেণীর শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের প্রাণপুরুষ নিজে ক্লাস নিচ্ছেন। স্যার শেখালেন অঙ্কের অসাধারণ কিছু কৌশল যার মাধ্যমে চাকরির পরীক্ষায় বড় বড় অঙ্কের সমাধান করা যাবে খুব সহজে। এইভাবেই তিনি বুঝিয়ে দিলেন যতটা ভয় দূর থেকে লাগে রোজ অনুশীলন করলে দেখা যাবে অঙ্ককে ভয় পাওয়ার কিছু নেই। শুধু শেখালেন না, একদম শিক্ষকোচিত ভঙ্গিতে ছেলেমেয়েদের পড়া ধরলেন, তাদের অমনোযোগীতার জন্য বকলেন এবং সস্নেহে আশ্বাস দিলেন RICE Education সবার জন্য আছে। যতক্ষণ না সাফল্য মিলছে RICE Education ছাত্রছাত্রীদের পাশে আছে- থাকবে। এমনকী যে কোন সময় কিছু বুঝতে অসুবিধা হলে, বা পড়াশোনা করতে করতে অবসাদ এলে, বা মানসিক ভাবে ভেঙে পড়লে, হতাশ লাগলে ছাত্রছাত্রীরা যেন তাঁর সঙ্গে যোগাযোগ করে সেই উদ্দেশ্যে তিনি নিজের মোবাইল নম্বরটিও সকলের সামনে ঘোষণা করে দিলেন। এতখানি অনুপ্রেরণা, এতখানি নৈতিক বল, মানসিক অবলম্বন দিতে পারেন বলেই তিনি উত্তরণের কান্ডারী, RICE Education তরুণদের নবজাগরণের পথপ্রদর্শক।

  • ইতিহাস গড়ার অনুপ্রেরণা

“উত্তরণের পথে” একটি এমন অধিবেশন যেখানে RICE গ্রুপের চেয়ারম্যান, অ্যাডামাস ইউনিভার্সিটির চ্যান্সেলর প্রফেসর ডঃ সমিত রায় মহাশয় বাংলার ছাত্রসমাজের সঙ্গে সরাসরি কথা বলেন, তাদের উদ্বোধিত করেন, অনুপ্রেরণার সঞ্চার করেন। পশ্চিমবঙ্গের জেলায় জেলায় RICE Education-এর যত শাখা আছে সমস্ত শাখার সকল ছাত্রছাত্রীদের কথা তিনি নিজে শোনেন, কৃতী ছাত্রছাত্রীদের সম্বর্ধিত করেন এবং সেই অঞ্চলের আশেপাশের কলেজ ছাত্রছাত্রীদের দিশা দেখান যে কীভাবে তারা একটি সরকারি চাকরি পেতে পারে এবং গড়তে পারে নিজের সফল ভবিষ্যৎ। খুব সম্প্রতি ৮ সেপ্টেম্বর, ২০২৩ RICE Education-এর বেহালা শাখার উদ্যোগে বেহালার শরৎসদনে অনুষ্ঠিত হয়ে গেল এমনই একটি অনুপ্রেরণাদায়ক অনুষ্ঠান।

  • পানিপথের যুদ্ধ

 স্যার একটি রবীন্দ্রসঙ্গীতকে তাঁর বক্তব্যের মূলসুর হিসেবে ধার্য করে আবৃত্তি করছিলেন-

          “বিপদে মোরে রক্ষা কর এ নহে মোর প্রার্থনা

        ….আমারে তুমি করিবে ত্রাণ এ নহে মোর প্রার্থনা

          তরিতে পারি শকতি যেন রয়।”

এই আত্মবিশ্বাস, এহেন আত্মনির্ভরতায় জেগে ওঠার জন্য তিনি ডাক দেন বাংলার যুবসমাজকে। তিনি জিজ্ঞাসা করেন ছাত্রছাত্রীদের তারা কি স্বপ্ন দেখে? স্বপ্ন, বড় কিছুর? ছাত্রছাত্রীরা পড়াশোনার দশ বছর পর যখন ১০ম ক্লাসে মাধ্যমিক বা সমতুল্য পরীক্ষা দিতে যায় তখন সেই পরীক্ষাকে মনে করে যেন পানিপথের ১ম যুদ্ধ। এইভাবে হায়ার সেকেন্ডারি এবং গ্র্যাজুয়েশনের পরে ২য় এবং ৩য় পানিপথের যুদ্ধ শেষ হয়। কিন্তু তাতে সাম্রাজ্য পাওয়া যায় না, বরং মাধ্যমিকের ‘সৌম্য’ বা গ্র্যাজুয়েশনের ‘মঞ্জরী’র পরিচয় ঘুচে গিয়ে তিন অক্ষরের একটি সামাজিক উপাধি পায় সে—“বেকার”। সে দিক থেকে RICE Education তো একটি মন্দির, যা তরুণদের বেকারত্বের অভিশাপ থেকে উত্তরণের পথ দেখায়।

  • কেরিয়ার ও সন্তুষ্টি

বাঙালি তরুণ প্রজন্ম যথেষ্ট বুদ্ধিমান কিন্তু উচ্চাকাঙ্ক্ষী নয়। তারা তলিয়ে চিন্তা করে না যে, ‘জীবন গঠন করতে আমি কোন সুনির্দিষ্ট পথে চলব’। প্রফেসর ডঃ সমিত রায় মহাশয় বলেন যে ছাত্রছাত্রীদের এটা ভাবার দরকার নেই যে ডাক্তার ইঞ্জিনিয়ার হওয়াই কেরিয়ারের চরম সাফল্য। তাদের সমতুল্য সফল কেরিয়ার গড়ে তোলা যায় সরকারি চাকরির ক্ষেত্রে। যে কোন সরকারি চাকরির প্রথম বেতন শুরুই হয় প্রায় ৩৫০০০/- টাকা থেকে। CGL-এর ক্ষেত্রে তো প্রথম বেতনই ৭০০০০/- টাকার উপর থেকে শুরু। তাঁর পর্যবেক্ষণ অনুযায়ী খুব শিগগিরই নতুন পে-স্কেল তৈরী হবে যেখানে একজন WBCS অফিসারের বেতন হতে পারে ১,৪০,০০০/- টাকার কাছাকাছি এবং একজন IAS IPS এর মাসিক বেতন হবে অন্তত ৩,৫০,০০০/- টাকার মত। সেইসঙ্গে মান- সম্মান, নিরাপত্তা এবং দেশের জন্য কাজ করতে পারার সন্তুষ্টি তো আছেই।

  • স্বপ্ন বড় কিছুর

কিন্তু বাংলার ছাত্রছাত্রীরা বড় স্বপ্ন দেখতে শেখেনি, স্বপ্নের জন্য রাত জাগতে, ভোরে উঠতে শেখেনি। স্কুল কলেজের পড়াশোনা তারা যতটা গুরুত্ব দিয়ে করে সরকারি চাকরি পাওয়ার জন্য ততটা আদা জল খেয়ে লাগতে পারে না। অথচ পার্শ্ববর্তী রাজ্যগুলিতে ঠিক তার বিপরীতক্রম লক্ষ্য করা যায়। সেখানে স্কুল-কলেজের পড়াশোনা যেমনভাবেই করুক না কেন স্কুলের গন্ডি পার করেই ছাত্রছাত্রীরা একদম একনিষ্ঠতার সঙ্গে UPSC পরীক্ষার জন্য গ্রুপস্টাডি, কোচিং ইত্যাদি শুরু করে দেয়। স্যার অত্যন্ত দূরদর্শীতার সঙ্গে বারবার এমন কথা বলেন যে দেশ কেবল নেতা মন্ত্রীরা চালান না, তাতে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করেন আমলারা। তাই এই আমলাতন্ত্রে রাজ্য থেকে যত বেশী প্রতিনিধি  পাঠানো যাবে রাজ্যের বিভিন্ন পরিকল্পনা তত সফলভাবে রূপায়িত হবে। তাই শুধু রাজ্য সরকারি পরীক্ষাই নয় কেন্দ্র সরকারি চাকরির পরীক্ষাতেও বসার প্রস্তুতি শুরু করতে হবে স্কুল কলেজ স্তর থেকেই।

  • মেধার বিকাশ

২২ বছর বয়সে কলেজে উত্তীর্ণ হওয়ার পর থেকে ৩২ বছর পর্যন্ত সরকারি চাকরির পরীক্ষায় বসা যায় একাধিকবার। কিন্তু প্রফেসর ডঃ সমিত রায় বলেন এটা কোন রোমাঞ্চের যাত্রা নয় যে একাধিকবার তার অভিজ্ঞতা সঞ্চয় করতে হবে। যতবার খুশি ততবার পরীক্ষা দিয়ে মাধ্যমিক বা হায়ার সেকেন্ডারি পরীক্ষায় পাশ করার কথা কেউ তো ভাবে না, তাহলে চাকরির পরীক্ষার ক্ষেত্রে মস্তিষ্কের এই অবসাদ কেন? কেন প্রথমবারেই প্রাণ পণ করে পরীক্ষায় বসে না প্রার্থীরা? তিনি বলেন জীবনের মাত্র দু- তিনটে বছর গভীর অধ্যাবসায় দিয়ে পড়লেই সরকারি চাকরির মাধ্যমে নিশ্চিন্ত জীবন পাওয়া যেতে পারে। কিন্তু পড়াশোনায় হতে হবে কঠোর পরিশ্রমী, প্রস্তুতি হতে হবে নিখাদ। ঠিক এইখানেই ছাত্রছাত্রীদের অনেকদূর পর্যন্ত এগিয়ে দেয় RICE Education। কোন ছাত্রছাত্রী আর্টস্‌, সায়েন্স, টেকনোলজি যে ধারারই হোক না কেন RICE Education তাকে সরকারি চাকরির জন্য প্রস্তুত করে তোলে ক্যাপাসিটি বিল্ডিং পদ্ধতির মধ্য দিয়ে।

  • ক্যাপাসিটি বিল্ডিং

কি এই ‘ক্যাপাসিটি বিল্ডিং’? ক্যাপাসিটি বিল্ডিং হল একটি প্রক্রিয়া। সে যে ধারারই ছাত্রছাত্রী হোক না কেন তারা খুব বেশী হলে ৫ থেকে ৬টা সাবজেক্ট পড়াশোনা করে আসে অথচ চাকরির পরীক্ষায় প্রশ্ন আসে ১৫টা সাবজেক্ট থেকে। যারা আর্টস ব্যাকগ্রাউন্ডের ছাত্রছাত্রী তারা হয়তো অঙ্কে ভয় পায়। এমন কথাও অনেকে বলে “সরকারি চাকরি পেতে হলে অঙ্ক পরীক্ষা দিতে হয়, আমি তো অঙ্কের ভয়েই মাধ্যমিকের পরে আর্টস্‌ নিয়ে পড়েছিলাম।” প্রফেসর ডঃ রায় বলেন, “তোমরা ছাত্রছাত্রীরা এটা কেন বোঝ না ১৫- ১৬ বছর বয়সে যে অঙ্ক ভীষণ কঠিন লেগেছে ২২ বছরের পরিণত মস্তিষ্কে তা খুব সহজেই বুঝতে পারবে”। আর চাকরির পরীক্ষার ৬০% প্রশ্নই আসে মাধ্যমিক স্তর থেকে। বাকি ৩০% উচ্চ মাধ্যমিক স্তর এবং মাত্র ১০% প্রশ্ন আসে স্নাতক স্তরের থেকে। RICE Education ১৫টা সাবজেক্টের বিশাল সিলেবাসকে ১২টা স্টাডি মেটেরিয়ালে ভাগ করে তাকে আত্মস্থ করায় ক্লাস ওয়ার্ক, হোম ওয়ার্ক, উইকলি টেস্ট, মান্থলি টেস্ট, মিশন ১০০, মকটেস্ট ইত্যাদির মাধ্যমে। ধীরে ধীরে বিজ্ঞানসম্মত উপায়ে ছাত্রছাত্রীদের ভীতি দূর করে তাদের দুর্বলতর বিষয়টাতে পারদর্শী করে তোলে। একেই বলা হয় ‘ক্যাপাসিটি বিল্ডিং’। RICE Education  পাশে থাকে প্রিলিমস্‌, মেইনস্‌, ইন্টারভিউ ইত্যাদি পরীক্ষার প্রত্যেকটি ধাপে। RICE মেথডোলজি একজন মধ্যমেধার শিক্ষার্থীকেও চাকরির পরীক্ষায় সফল করে তোলার দাবি করতে পারে।

  • কৃতীদের প্রেরণা

RICE মেথডোলজি যে ছাত্রছাত্রীদের কতখানি আত্মবিশ্বাসী করে তুলেছে তা বোঝা যায় RICE Education-এর কৃতীদের কথায়। RICE- বেহালা শাখার ১৬ জন সফল শিক্ষার্থী, যাঁদের কেউ কেউ আবার একাধিক পরীক্ষায় সফল, কেউ চাকরিরত – তাদের প্রত্যেককে মঞ্চে ডেকে নিজের হাতে সম্বর্ধনা দেন প্রতিষ্ঠানের কর্ণধার প্রফেসর ডঃ সমিত রায় মহাশয়। মঞ্চে দাঁড়িয়ে তাঁরা মুক্তকন্ঠে স্বীকার করেন অদম্য জেদ, লেগে থাকার মানসিকতা, আর কঠোর পরিশ্রম ছাড়া সরকারি চাকরি পাওয়ার কোন বিকল্প পথ নেই। সে ক্ষেত্রে RICE Education তাদের পথপ্রদর্শক, সহায়ক এবং অনুপ্রেরণার প্রধান উৎস। RICE Education-এ ভর্তি হওয়া তাদের জীবনের অন্যতম সঠিক সিদ্ধান্ত। সেদিন যদি এই সিদ্ধান্ত নিতে দ্বিধা করতেন তাহলে সরকারি পদে বসার স্বপ্ন অধরাই থেকে যেত। এই সফল ছাত্রছাত্রীরাই নতুনদের স্বপ্ন দেখান, তাঁদের মধ্যে অন্যতম বিতান চৌধুরী যিনি WBCS-এ সফল হয়ে বর্তমানে কর্মরত, তিনি দর্শকের আসনে সমাসীন বর্তমান ছাত্রছাত্রীদের সম্বোধিত করে বলেন যে তাঁর অফিসে এখনও অনেক আসন ফাঁকা, এদের সকলকে বিতান তাঁর সহকর্মী হিসাবে সেই ফাঁকা আসনগুলিতে দেখতে চান। এ সাফল্য কেবল একার নয়, পশ্চিমবঙ্গের সমস্ত তরুণ সমাজকে এই সাফল্য এনে দিতে RICE Education বদ্ধপরিকর।

  • ম্যাথাম্যাজিক

‘উত্তরণের পথে’র আর একটি বিশেষ আকর্ষণ হল প্রফেসর ডঃ সমিত রায়ের ম্যাথস্‌ ট্রিকসের ক্লাস, যাকে বলা যায়— ‘ম্যাথাম্যাজিক’! দর্শকের আসনে বসে থাকা ছাত্রছাত্রীদের কাছে অডিটোরিয়াম তখন এক আশ্চর্য ক্লাসরুম যেখানে ৩৮ বছরের অভিজ্ঞতাসম্পন্ন একটি প্রথম শ্রেণীর শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের প্রাণপুরুষ নিজে ক্লাস নিচ্ছেন। স্যার শেখালেন অঙ্কের অসাধারণ কিছু কৌশল যার মাধ্যমে চাকরির পরীক্ষায় বড় বড় অঙ্কের সমাধান করা যাবে খুব সহজে। এইভাবেই তিনি বুঝিয়ে দিলেন যতটা ভয় দূর থেকে লাগে রোজ অনুশীলন করলে দেখা যাবে অঙ্ককে ভয় পাওয়ার কিছু নেই। শুধু শেখালেন না, একদম শিক্ষকোচিত ভঙ্গিতে ছেলেমেয়েদের পড়া ধরলেন, তাদের অমনোযোগীতার জন্য বকলেন এবং সস্নেহে আশ্বাস দিলেন RICE Education সবার জন্য আছে। যতক্ষণ না সাফল্য মিলছে RICE Education ছাত্রছাত্রীদের পাশে আছে- থাকবে। এমনকী যে কোন সময় কিছু বুঝতে অসুবিধা হলে, বা পড়াশোনা করতে করতে অবসাদ এলে, বা মানসিক ভাবে ভেঙে পড়লে, হতাশ লাগলে ছাত্রছাত্রীরা যেন তাঁর সঙ্গে যোগাযোগ করে সেই উদ্দেশ্যে তিনি নিজের মোবাইল নম্বরটিও সকলের সামনে ঘোষণা করে দিলেন। এতখানি অনুপ্রেরণা, এতখানি নৈতিক বল, মানসিক অবলম্বন দিতে পারেন বলেই তিনি উত্তরণের কান্ডারী, RICE Education তরুণদের নবজাগরণের পথপ্রদর্শক।

SSC পরীক্ষায় রিজনিং বা জেনারেল ইন্টেলিজেন্সের ভূমিকা

স্টাফ সিলেকশন কমিশন বা SSC কেন্দ্রীয় সরকারের বিভিন্ন পদে নিয়োগের জন্য বিভিন্ন প্রতিযোগিতামূলক পরীক্ষা আয়োজন করে থাকে। এই পরীক্ষাগুলির মধ্যে সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ হল SSC CGL, SSC CHSL এবং SSC MTS। নতুন পরীক্ষা পদ্ধতি ও সিলেবাস অনুযায়ী এই তিনটি পরীক্ষাতেই রিজনিং বা জেনারেল ইন্টেলিজেন্সের একটি গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রয়েছে। CGL, CHSL এবং MTS পরীক্ষার Tier-I এবং Tier-II তে রিজনিং বা GI-এর Marks distribution বা নম্বর বিভাজন একটু ভিন্ন ধরনের। উল্লেখ্য যে MTS পরীক্ষায় Tier-I এবং Tier-II আলাদাভাবে থাকে না। এই বিষয়ে candidate কে আগে থেকেই জেনে নিতে হবে।

 

GI Subject টি এমন একটি বিষয়, যেখানে যেকোন level এর student একটু serious ভাবে প্রস্তুতি নিলে Full Marks পেতে পারে।এবারে আশা যাক central government এর যে পরীক্ষাগুলো হয়ে থাকে তাতে GI এর কোন কোন টপিকগুলো তাকে পড়াশুনো করে যেতে হবে। প্রথমেই coding-decoding সম্বন্ধে একটু আলোচনা করা যাক। CGL/CHSL/MTS এই ধরনের পরীক্ষাতে আগে যে ধরনের coding-decoding দিত এখন কিন্তু তার standard অনেক high হয়েছে। শুধু তাই নয় যেসব পরীক্ষাতে Tier-II আছে সেখানে weightage বেশি সেখানে আমরা আশা করতে পারি যে Tier-I এর থেকে Tier-II question এর মান একটু উন্নত হতে পারে। তাই যেকোনো chapter একদম basic level থেকে শুরু করে high level পর্যন্ত প্র্যাক্টিস করে যাওয়া উচিত। তার কারণ, আমরা Tier-I এ যে level আসুক না কেন সেটা তো আমি answer করতে পারবো আর Tier-II তে যদি একটু কঠিন question হয় সেটাও আমরা যাতে solve করতে পারি। Tier-I এর জন্য পরীক্ষার্থীরা প্রস্তুতি নিয়ে থাকে Tier-II তে গিয়ে ওই প্রস্তুতিটা আর প্রয়োজন পড়ে না। কারণ, আগে থেকে প্রস্তুতি নেওয়া আছে। তাহলে আমরা যদি একটু high level করে যাই তখন যাই আসুক না কেন আমরা solve করতে পারবো। Coding-decoding chapter থেকে দুটি থেকে তিনটি question Central government এর প্রায় প্রতিটা পরীক্ষাতে থাকে। পরবর্তী chapter গুলোর standard নিয়ে আমরা আগেই আলোচনা করেছি তাই আর chapter এর standard নিয়ে আলোচনা না করে আমরা এবারে কোন টপিক থেকে কতগুলি করে question আসতে পারে সেই নিয়েই আমরা আলোচনা করবো। এরপর আসা যাক number series নিয়ে। এখানে দুধরনের question আসে, কখনো wrong number identify করতে বলে অথবা পরবর্তী number কী হবে সেটা জিজ্ঞেস করতে পারে। এটাও আশা করা যায় দুই ধরনের question আসতে পারে।

 

এরপরে আমরা খুব গুরুত্বপূর্ণ বিষয়ে আসব, Analogy এবং Classification। এই দুটি বিষয় অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ যে কোনো পরীক্ষার জন্য। এখানেও চারটে type থাকে। যেমন, word এর উপর হতে পারে, number এর উপর দিতে পারে, letter এর উপর আসতে পারে এবং group of words এর উপরেও হতে পারে। এই দুটি বিষয়ের ওপরে পরীক্ষার্থীদের কম করে 300 থেকে 400 questions practice করে যেতে হবে। পরবর্তী chapter গুলো Direction test, Dice, Letter series, Blood relations, Venn diagram, Calendar, Missing number, Clock, Sitting arrangement, Puzzle test, Alphabetical test, Mathematical operation, Syllogism, Statement and Conclusions, Statement and Assumptions, Statement and Arguments, Statement and Course of action, Data sufficiency ইত্যাদি। এই যে এতগুলো chapter একসাথে বলা হলো প্রত্যেকটি বিষয়ে আবার তিন-চারটি করে টাইপ থাকে তাই প্রত্যেক পরীক্ষার্থীকে প্রতিটা টপিক থেকে কমপক্ষে 50টি প্রশ্ন প্র্যাকটিস করে যেতে হবে। এরপরে আমরা একটু non-verbal section এ আসি। এই section থেকে যে টপিকগুলো থেকে সাধারণত question আসে সেগুলো হলো Series, Analogy, Classification, Mirror Image, Water Image, Paper Cutting, Paper Folding, Counting of Figures, Matrics, Embedded/Hidden figure, Grouping of Images, Pattern completion, Shape Construction ইত্যাদি। Recent যে পরীক্ষাগুলো হয়েছে তাতে কিন্তু non-verbal series এবং non-verbal analogy থেকে খুব standard questions এসেছে তাই আমি প্রতিটি পরীক্ষার্থীকে বলবো যে এমনভাবেই নিজেকে তৈরি করো যাতে কম দিনের মধ্যে সাফল্য পাওয়া যায়। কিন্তু, যদি পড়াশুনাতে ঘাটতি থাকে তাহলে পরীক্ষায় সুযোগ তো পাওয়া যাবে না এবং বারবার ব্যর্থ হতে হতে নিজের মধ্যে একটি হতাশা তোমাকে গ্রাস করে বসবে। প্রত্যেকদিন at least আট থেকে দশ ঘণ্টার প্রস্তুতি নাও তার ফলে তুমি আত্মবিশ্বাসের সঙ্গে পরীক্ষায় বসতে পারবে এবং সাফল্য পাবে।

 

শ্রীভক্তিপদ গিরি

(শিক্ষক, রাইস এডুকেশন)

SSC CGL 2022-এ RICE Education-এর বিরাট সাফল্য

ভারতবর্ষের অন্যতম বৃহৎ নিয়োগকারি বোর্ড স্টাফ সিলেকশন কমিশন (SSC)। তারা প্রতি বছর CGL পরীক্ষা পরিচালনা করে এবং লক্ষ লক্ষ পরীক্ষার্থী এই পরীক্ষায় অংশগ্রহণ করেন। ভারত সরকারের শীর্ষ মন্ত্রণালয়, সরকারি দপ্তর এবং সরকারি সংস্থার বিভিন্ন পদে গ্রুপ B এবং C অফিসারদের নিয়োগ সংঘটিত হয় এই CGL পরীক্ষার মাধ্যমে। যারা একটি সুনিশ্চিত এবং স্থায়ী ভবিষ্যতের জন্য সরকারি চাকরির লক্ষ্যে এগোতে চান এমন প্রার্থীদের জন্য SSC CGL একটি চমৎকার সুযোগ। এর আকর্ষণীয় বেতন এবং সুযোগ-সুবিধা প্রার্থীদের SSC CGL পদের জন্য আবেদন করতে প্রাণিত করে। SSC CGL-এর অধীনে অসংখ্য পদ এবং তাতে প্রতি বছর হাজার হাজার কর্মী নিয়োগ করা হয়। SSC CGL একটি National level- এর পরীক্ষা। ১৮ থেকে ৩০ বছর বয়স পর্যন্ত এই পরীক্ষা দেওয়ার সুযোগ পাওয়া যায়।

  • Staff Selection Commission, SSC CGL-পরীক্ষার মাধ্যমে বিভিন্ন বিভাগে যে সব পদে নিয়োগ করে সেগুলো হলঃ
  1. Assistant in Ministries/Department, Attached and Subordinate office of the Government of India
  2. Postal Assistant/Sorting Assistant
  3. Inspector of Income Tax Research Assistant
  4. Preventive Officers in Customs10. Compiler in Registrar General of India
  5. Inspectors of Central Excise & Customs
  6. Tax Assistant in CBDT and CBEC
  7. Examiner in Customs12. Accountant/Junior Accountant
  8. Assistant Enforcement Officer in the Directorate of Enforcement, Department of Revenue
  9. Auditor Offices under C&AG, CGDA, CGA & Others
  10. Sub-Inspectors in Central Bureau of Narcotics & CBI
  11. Divisional Accountant, Jr. Accountant, Auditor & UDCs in various offices of the Government of India.
  • SSC CGL পরীক্ষার স্তরবিভাগ

CGL পরীক্ষা দুটি স্তর বা ধাপে সম্পাদিত হয়—প্রিলিম এবং মেইন। SSC CGL এ বিভিন্ন পদের জন্য যোগ্যতার মানদন্ড আলাদা, তার একটা তালিকা করা যেতে পারে—

জন্য যোগ্যতার মানদন্ড আলাদা, তার একটা তালিকা করা যেতে পারে—

SSC CGL 2023 শিক্ষাগত যোগ্যতা

পোস্ট

শিক্ষাগত যোগ্যতা

Assistant Audit Officer অ্যাসিস্ট্যান্ট অডিট অফিসার    

কোনো স্বীকৃত প্রতিষ্ঠান থেকে যেকোনো বিষয়ে স্নাতক ডিগ্রি অপরিহার্য। 

CS/CA/MBA/Cost Management Accountant/commerce-এ স্নাতকোত্তর এবং বিজনেস স্টাডিজে স্নাতকোত্তর কাঙ্ক্ষিত

Junior Statistical Officer (JSO)

জুনিয়ার স্ট্যাটিস্টিকাল অফিসার

একটি স্বীকৃত প্রতিষ্ঠান থেকে স্নাতক ডিগ্রী (ক্লাস ১২এ গণিতে ন্যূনতম 60%)

বা

যেকোন শাখায় স্নাতকের সঙ্গে একটি বিষয় হিসাবে স্ট্যাটিস্টিক থাকতে হবে। 

কম্পাইলার পোস্ট

কোন একটি স্বীকৃত প্রতিষ্ঠান থেকে স্নাতক ডিগ্রীতে অর্থনীতি বা

গণিত অথবা পরিসংখ্যান একটি কম্পালসারি বা ঐচ্ছিক বিষয় হিসাবে থাকতে হবে।

অন্যান্য সব পোস্ট

কোনো স্বীকৃত প্রতিষ্ঠান থেকে যেকোনো বিষয়ে স্নাতক ডিগ্রি।

 

  • SSC CGL নির্বাচন প্রক্রিয়া

SSC CGL পরীক্ষা দুটি স্তরে পরিচালিত হয়। ১ম স্তরে একটি অনলাইন এবং কম্পিউটার-ভিত্তিক পরীক্ষা হয়। এই ১ম স্তরটি যারা উত্তীর্ণ হয় শুধুমাত্র সেই সমস্ত প্রার্থীরাই SSC CGL টায়ার 2 বা ২য় স্তরের পরীক্ষায় বসতে পারে।

  • SSC CGL সিলেবাস

SSC CGL টায়ার 2-তে তিনটি পেপার থাকে— পেপার I, পেপার II এবং পেপার III।

পেপার I সকল পোস্টের জন্য বাধ্যতামূলক। পরিসংখ্যান এবং প্রোগ্রাম ইমপ্লিমেন্টেশন (Programme Implementation) মন্ত্রকের জুনিয়ার স্ট্যাটিস্টিকাল অফিসার (Junior Statistical Officer) পদের জন্য পেপার II এবং যারা সহকারী অডিট অফিসার বা সহকারী অ্যাকাউন্ট অফিসার পদের জন্য আবেদন করবেন তাদের জন্য পেপার III-র পরীক্ষা ধার্য।

SSC CGL-এ টিয়ার 2 পরীক্ষার পেপার I, পেপার II এবং পেপার III এর জন্য আলাদাভাবে কাট-অফ প্রকাশ করা হয়।

  • SSC CGL পরীক্ষা প্যাটার্নের সামগ্রিক বিবরণ সারণী

স্তর

পরীক্ষার প্রকারভেদ

পরীক্ষার মোড

টিয়ার I

মাল্টিপল চয়েস

কম্পিউটার ভিত্তিক পরীক্ষা (CBT)

(অনলাইন)

টিয়ার II

পেপার I: সমস্ত পদের জন্য বাধ্যতামূলক।

কম্পিউটার ভিত্তিক পরীক্ষা (CBT)

(অনলাইন)

প্রোগ্রাম ইমপ্লিমেন্টেশন মন্ত্রকের জুনিয়ার স্ট্যাটিস্টিকাল অফিসার

কম্পিউটার ভিত্তিক পরীক্ষা (CBT)

(অনলাইন)

পেপার III: সহকারী অডিট অফিসার/সহকারী অ্যাকাউন্টস অফিসারের পদের জন্য আবেদনকারী প্রার্থীরা এই বিষয়ের পরীক্ষা দেবেন।

(অবজেক্টিভ টাইপ এবং MCAQ)

(ছাড়: পেপার I এর বিভাগ III এর মডিউল II)

কম্পিউটার ভিত্তিক পরীক্ষা (CBT)

(অনলাইন)

  • RICE Education- এর বিরাট সাফল্য

সরকারি চাকরির পরীক্ষার প্রশিক্ষণের ক্ষেত্রে সবচেয়ে সফল, সবচেয়ে নির্ভরযোগ্য সংস্থা RICE Education গর্বিত যে আরও একবার সংস্থার ছাত্রছাত্রীরা পৌঁছতে পেরেছে সাফল্যের শিখরে। সদ্য প্রকাশিত হয়েছে SSC CGL 2022-এর রেজাল্ট, আর সেই  সাফল্যের তালিকা জুড়ে আছে RICE Education-এর কৃতি ছাত্রছাত্রীরা। কেন্দ্রীয় সরকারের অধীনে মাসিক প্রায় 50,000/- থেকে 1,50,000/- বেতনের চাকরি পেয়েছে RICE Education- এর ৬০ জনেরও বেশি ছাত্রছাত্রী।

  • RICE Education একটি স্বপ্নের বাস্তবায়ন

RICE Education-এর কর্ণধার প্রফেসর (ডঃ) সমিত রায় এই স্বপ্ন নিয়েই শুরু করেছিলেন যে সর্বভারতীয় স্তরের চাকরির পরীক্ষায় যেন বাংলার ছেলেমেয়েরা বসতে পারে এবং বিভিন্ন কেন্দ্রীয় সরকারি দপ্তরে বাঙালিরা নিয়োগ পায়। সেই লক্ষ্যে পৌঁছাতে RICE Education প্রত্যেক শিক্ষার্থীকে আলাদাভাবে যত্নের সঙ্গে গড়ে তোলে। সফল ছাত্রছাত্রীরাও অকুন্ঠভাবে স্বীকার করে তাদের সাফল্যের নেপথ্যে RICE Education- এর অবদান। যেমন, বেহালা থেকে রোহন ভঞ্জ চৌধুরী SSC CGL-2021, OTHER THAN AAOs/JSO/STATISTICAL INVESTIGATOR পদে নিয়োগ পেয়েছেন। তিনি জানিয়েছেন যে গ্র্যাজুয়েশনের আগেই ২০১৯ সালে তিনি RICE-এ ভর্তি হয়েছিলেন। তাঁর মতে সরকারি চাকরি পাওয়ার জন্য গাইডেন্স অত্যন্ত প্রয়োজনীয়, এই গাইডেন্স তিনি পেয়েছেন RICE Education-এ। তিনি বলেছেন এখানে টিচারদের কাছে সরাসরি পড়তে পেরেছেন তিনি। প্রতি সপ্তাহে টেস্ট, মান্থলি টেস্ট, মকটেস্ট ইত্যাদির মাধ্যমে রাইস তাকে আত্মবিশ্বাস দিয়েছে। CGL- এর দীর্ঘ বাছাই প্রক্রিয়া পার হতে উৎসাহ ও ধৈর্য দুটোই দরকার হয়। যখন RICE Education-এর গাইডেন্স থাকে তখন ছাত্রছাত্রীরা নিরন্তর উৎসাহ ও লেগে থাকার উদ্দীপনা পায় শিক্ষকদের থেকে, সহপাঠীদের থেকে।   

UPSC-র ঠিক পরেই যেসব কেন্দ্রীয় সরকারি দপ্তর তাতে নিয়োগের জন্য SSC যে CGL (Combined Graduate Level) পরীক্ষাটা নেয় তাতে চারটে গুরুত্বপূর্ণ বিষয় অংক, ইংরেজি, রিজনিং এবং G.K- G.I। প্রত্যেক সফল শিক্ষার্থী একবাক্যে স্বীকার করেছেন যে RICE Education-এ গুরুত্বপূর্ণ প্রত্যেকটা সাবজেক্টই এত ভালোভাবে পড়ানো হয়েছে, ক্লাস ওয়ার্ক, হোম ওয়ার্ক, উইকলি ও মান্থলি পরীক্ষার মাধ্যমে ভিত্তি শক্ত করা হয়েছে যে তাঁরা প্রত্যেকটা সাবজেক্টেই ভালো মার্কস তুলতে পেরেছেন। সবচেয়ে বড়কথা অনেকে গ্র্যাজুয়েশনের পরে প্রথম সুযোগেই এই কঠিন পরীক্ষাটি পাশ করেছেন। যেমন, শিলিগুড়ির ছাত্র শুভার্থী নন্দী AAO/AAO,Assistant Audit Officer পদে নিয়োগ পেয়েছেন, বলেছেন এটা তাঁর জীবনের শ্রেষ্ঠ এচিভমেন্ট। কারণ তিনি একবারেই গেজেটেড অফিসার হতে পেরেছেন। তাঁর মা-বাবা গর্বিত। শুভার্থী RICE-এর ১০০% স্কলারশিপ নিয়ে পড়তে এসেছিলেন। অত্যন্ত ট্যালেন্টেড শুভার্থী বলেনঃ “আমার যেটুকু ট্যালেন্ট ছিল RICE সেটাকে কয়েকগুণ বাড়িয়ে দিয়েছে আর সাকসেস এনে দিয়েছে”। তিনি আশাতিরিক্ত সাহায্য পেয়েছেন অংক, G.I-এর স্যারেদের থেকে- এঁদের কাছে রাত দুটো তিনটেতেও যদি তিনি কোন অংক বা প্রবলেম whatsapp করে পাঠাতেন তবে সবসময়ই তাঁরা উত্তর দিতেন। শুভার্থীর মতে ভবিষ্যৎ পরীক্ষার্থী যারা সফল হতে বদ্ধপরিকর তাদের আসতেই হবে RICE-এ। RICE Education –কে তিনি ১০-এ ১০ রেটিং দিয়েছেন।

বেলঘড়িয়ার স্বর্ণাভ হালদার Other than AAO/JSO,Tax Assistant পদে চাকরি পেয়েছেন। ২০২০তে লকডাউনের সময় যখন হোয়াটসঅ্যাপে ক্লাস হত সেই সময়কার ছাত্র স্বর্ণাভ। CGL পরীক্ষা দিয়েছিলেন মরিয়া হয়ে। WBCS- এর লম্বা প্রক্রিয়ার মধ্যে দিয়ে যেতে যেতে হতাশ স্বর্ণাভ যখন CGL পাশ করলেন, প্রথমেই মনে হল জীবনে যেন শান্তি এল। এখানে এসে প্রথমদিনেই বুঝেছিলেন যে কম্পিটিশনটা কোন পর্যায়ের! স্যার ম্যামরা কি পড়তে হবে আর কি পড়তে হবে না এটা প্রথমেই বুঝিয়ে দিয়েছিলেন। তাঁর মতে ‘কি পড়তে হবে না’ এটা বোঝা বেশি জরুরী কারণ এখানে নষ্ট করার মত সময় নেই। ইতিহাসের সুরজিৎ স্যার অসাধারণ, ক্লাসেই পড়া তৈরি হয়ে যেত। কনস্টিটিউশনের অনুরাধা ম্যাম, ইকনমিক্সের  বিপ্লব স্যার, কারেন্ট অ্যাফেয়ার্সের প্রতাপ স্যার খুব হেল্প করেছিলেন। স্বর্ণাভ মনে করেন, একা একা পড়ে বা এদিক ওদিকে তাকিয়ে চাকরির পরীক্ষার ব্যাপক প্রতিযোগিতার কোন ধারণা তৈরি হয় না। এটা বোঝার জন্য এবং কোনটা না পড়লেও হবে জানার জন্য ভবিষ্যৎ পরীক্ষার্থীদের তিনি RICE-এ ভর্তি হওয়ার পরামর্শ দেন। ইন্টারনেটে ক্লাস করেও তিনি RICEকে ১০-এর মধ্যে ৮ রেটিং দিয়েছেন।

Other than AAO/JSO, Auditor  পদে সুযোগ পেয়ে বহরমপুরের বাণী কোনাই এত উচ্ছ্বসিত যে কথা বলার ভাষা পাচ্ছিলেন না। জানালেন, চর্চার অভাবে তাঁর ইতিহাস, ভূগোল, ইকোনমিক্স, পলিটি ইত্যাদি আর্টস সাবজেক্টে ভীতি চলে এসেছিল। সেটা দূর করেছে RICE-এর শিক্ষকদের অসামান্য শিক্ষাদানের পদ্ধতি। RICE-এর গাইডেন্সই তাঁর উদ্দেশ্য সফল করতে সাহায্য করেছে, এজন্য তিনি RICE Education-এর কাছে কৃতজ্ঞতা জানান।

SSC CGL 2021-এ পশ্চিমবঙ্গ থেকে ফার্স্ট হয়ে বর্তমানে এসিস্ট্যান্ট অডিট অফিসার রিয়া দত্ত RICE Education শিয়ালদহের স্টুডেন্ট ছিলেন। তিনি এই ব্যাপক সাফল্যের বিষয়ে কথা বলতে গিয়ে নিজের অভিজ্ঞতা তুলে ধরেছেন। বলেছেন, একথা ঠিক যে, নিজের প্রচেষ্টা ছাড়া সফলতা পাওয়া যায় না কিন্তু সেই প্রচেষ্টা হতে হবে সঠিক দিশায়। RICE-এর কাজ ভিত্তি তৈরি করে দেওয়া। RICE-এর গাইডেন্স এবং টিচারদের সাহায্য তাঁকেও একটি শক্ত ভিত্তি তৈরি করে দিয়েছিল। তাঁর এখনও মনে আছে ইকনমিক্সের জয়িতা ম্যামের অসাধারণ পড়ানোর কথা। তাঁর মাইক্রোইকনমিক্সের ক্লাসটা রিয়া আজও ভুলতে পারেননি এমন একটা স্বচ্ছ ধারণা ম্যাডাম তৈরি করে দিয়েছেন। CGL-এর টীয়ার ২ অর্থাৎ ফাইনালে ফাইনান্স এবং ইকনমিক্স পরীক্ষায় তাই আর কোন ভয় ছিল না তাঁর। RICE Education-এ অসাধারণ G.K-র ক্লাস স্মরণ করে তিনি বলেছেন অপশন এলিমিনেট করে কিভাবে সঠিক উত্তর খুঁজে নিতে হয় সেটা শিখিয়ে আত্মবিশ্বাসী করে তুলেছিল রাইস। নতুনদের তিনি বলতে চান RICE Education-এ ভর্তি হতেই হবে কিন্তু সেটাই শেষ কথা নয়, RICE যেমনভাবে গাইড করে নিজেকে পরিশ্রম করে তেমনভাবেই তৈরি হতে হবে তবেই সাফল্য ধরা দেবে। তিনি RICE-কে ১০এর মধ্যে ৯ রেটিং দিয়েছেন।

বাবা মায়েরা অনেক আশা নিয়ে তাঁদের সন্তানকে এই প্রতিষ্ঠানে পড়তে পাঠান। সার্থকভাবে তাঁদের প্রত্যাশা পূরণ করে RICE Education। রোহনের বাবা শ্রীযুক্ত প্রতুল ভঞ্জ চৌধুরী তাঁর পুত্রের সাফল্যের পিছনে RICE Education-এর সকলরকম সহায়তার কথা উল্লেখ করে বিশেষভাবে RICE Education-এর কর্ণধার প্রফেসর (ডঃ) সমিত রায়ের কাছে বিনম্র কৃতজ্ঞতা জ্ঞাপন করেছেন। সততার সঙ্গে ছাত্রদের সফলতার জন্য RICE Education-এর সকল শিক্ষক, কর্মী যে আন্তরিক প্রচেষ্টা করেন এই গৌরব, এই প্রাপ্তি তাঁদের সকলের।